কোরআনের আলোকে জ্ঞানের মনস্তত্ত্ব
এস এম জাকির হুসাইনহাজার হাজার বছর ধ’রে মানব জাতি যে জিনিসটির সন্ধান করেছে, এবং পেয়েছে, অথবা নিজের অজান্তেই কুড়িয়ে
নিয়েছে, কিন্তু মনে করেছে যে পায়নি, তা হলো জ্ঞান। আল্লাহ্ বিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন তার নিজের রহস্য, স্বরূপ, সৌন্দর্য,
দয়া তথা যাবতীয় বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করার জন্য। এই প্রকাশকে কখনোই প্রকাশ ব’লে চিহ্নিত করা সম্ভব হতো না, যদি জানা
না যেত যা কিছু প্রকাশিত হয়েছে তা প্রকাশ না হলে কী হতো? আবার, যা কিছু প্রকাশিত হয়েছে, তা যে যা প্রকাশিত
হয়নি তার অংশ মাত্র, তাও বোঝা যেত না, যদি না একথা জানা যেত — ‘কী প্রকাশিত হয়েছে?’। যা কিছু প্রকাশিত, তার
অস্তিত্ব নির্ণয় করা হয় অনুভূতি দিয়ে। এই অনুভূতি গুলো হলো দৃষ্টি, শ্রবণ, স্পর্শ, গন্ধ, স্বাদ। কিন্তু অনুভূতিগুলি যা
অনুভব ক’রে থাকে, তা কেন অনুভব করল, এবং কেন তার কাছে তা গুরুত্বপূর্ণ ব’লে অনুভূত হোল, এই রহস্যটি
অনুভূতিরও অতীত। আবার এই রহস্যটি অনুভূতিরও অতীত হওয়া সত্ত্বেও, যে—যোগ্যতাবলে অনুভূতির কাজগুলিকে
বিশ্লেষণ করা হয়, সেই যোগ্যতাই অনুভূতি—শক্তিগুলিকে ধারণ ক’রে আছে। অনুভূতির পথ ধ’রে তথ্যাবলি যখন এই
যোগ্যতার সমতলে গিয়ে ঐক্যপূর্ণ অবস্থায় একটি অর্থ খুঁজে পায়, তখন তাকে বলে জ্ঞান।